সড়কে দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর মামলায় মানিকগঞ্জের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।
Published : 24 Sep 2014, 05:06 PM
বুধবার মানিকগঞ্জে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ক্যাথরিনের সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ঢালী আল-মামুন এবং তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলিও।
২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জে যে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ নিহত হয়েছিলেন, ওই গাড়িতে ক্যাথরিনসহ এই তিনজনও ছিলেন। তারা আহত হয়েছিলেন।
বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তারেক মাসুদ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীর।
তারেক তার চলচ্চিত্র ‘কাগজের ফুলের’ শুটিংয়ের স্থান দেখতে অন্য সহকর্মীদের নিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রামে গিয়েছিলেন।
ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় তাদের মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ওই দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসচালক মোস্তাফিজুর রহমান, তারেকের প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেনও নিহত হন।
এই ঘটনায় ঘিওর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান থানায় মামলা করলে বাসচালক জামির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ওই বছরের ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি জামিনে ছাড়া পান।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২১ মার্চ ঘিওর থানার তৎকালীন ওসি আশরাফ-উল ইসলাম বাসচালককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের পর চলতি বছর শুরু হয় বিচার।
মামলার বাদী লুৎফর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের বুধবার দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে জবানবন্দি দেন ক্যাথরিন, ঢালী আল-মামুন ও জলি।
এই তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারক রফিকুল ইসলাম আগামী ২৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন।
জামিনে থাকা আসামি বাসচালক জামির হোসেনও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এপিপি আফছারুল ইসলাম মনি, একেএম নুরুল হুদা রুবেল ও তারিকুল ইসলাম হিরা। আসামি পক্ষে ছিলে মাধব কুণ্ড সাহা।
আফছারুল সাংবাদিকদের বলেন, “সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগীরা সঠিক ও ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছি।”
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাধব সাহা বলেন, তথ্যপ্রমাণে তার মক্কেল জামির নির্দোষ বলে প্রমাণিত হবেন।