চট্টগ্রামে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা জজ কাজী আবদুল হাসিব মো. সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Published : 17 Sep 2014, 11:55 PM
বুধবার বিকালে হালিশহর থানার এসআই মুকুল মিয়ার করা মামলায় আসামিরা হলেন- বিচারকের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করা সানজিদা আহমেদ মিশু, তার মা লাকী আক্তার, বাবা নাসির আহমেদ, বড় ভাই ইমরান হোসেন, সানজিদার বাসার গৃহকর্মী রিনা আক্তার।
আসামিদের মধ্যে সানজিদার বাবা নাসির আহমেদ পলাতক আছেন।
তবে সানজিদা নিহত বিচারকের দ্বিতীয় স্ত্রী কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
পরে আটকদের মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক নওরীন আক্তার কাঁকন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে পুলিশের সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হালিশহর থানার এসআই মো. অলিউল্লাহ জানান, মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
“মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার নগরীর হালিশহরের মোল্লাপাড়া এলাকায় সানজিদা আহমেদ মিশুর বাসায় মারা যান বিচারক সাঈদ।
সন্ধ্যায় সানজিদা আহমেদ ও লাকী আক্তার বিচারক কাজী আবদুল হাসিবের লাশ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরে রাতে মোল্লাপাড়ার বাসা থেকে সানজিদার বড় ভাই ইমরান ও গৃহকর্মী রিনাকে আটক করা হয়, বলেন অলিউল্লাহ।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভীর আরাফাত জানিয়েছিলেন, বিচারকের মাথায় আঘাতের বড় চিহ্ন আছে। গলায়ও দাগ আছে।
“চার দিন আগে বিচারক চট্টগ্রামে আসেন। মঙ্গলবার বিকালে বিচারক মোল্লা পাড়ার ওই বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে গ্রেপ্তার হওয়ারা শুরুতে দাবি করেন। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার আগেই বিচারকের মৃত্যু হয়।”
বিচারক কাজী আবদুল হাসিব মো. সাঈদ পদোন্নতি পেয়ে নওগাঁয় যোগ দেয়ার আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় যুগ্মজেলা জজ ছিলেন।