রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুই ট্রেনের মাঝে পড়ে ধাক্কায় দুই নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 11 Sep 2014, 09:49 AM
বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকে কারওয়ানবাজার রেলক্রসিংয়ের পাশে এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে এক পুরুষ নিহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরো তিনজন।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন- বরগুনা এলাকার কাওসারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)।
নিহত অন্য তিনজনের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও একজন নারী।
কারওয়ানবাজারে রেললাইনের উপর প্রতিদিন মাছ নিয়ে বসেন বিক্রেতারা।
ওসি মজিদ বলেন, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে কারওয়ানবাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি রেললাইনের উপর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা পাশের লাইনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কর্ণফুলি এক্সপ্রেস সেখানে পৌঁছালে দুই ট্রেনের মাঝে পড়েন তারা।
এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ১৬ জন আহত হন বলে রেলওয়ের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. সাইদুল ইসলাম জানান।
আহতদের মধ্যে আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক তরুণী, বেলা পৌনে ১১টার দিকে এক পুরুষ এবং বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মনোয়ারা মারা যান বলে জানান তিনি।
মোজাম্মেল জানান, নিহত তরুণীর আনুমানিক বয়স ২২ বছর। সালোয়ার কামিজ পরিহিত ওই তরুণীর গায়ে গোলাপী রঙের বোরকা ছিল।
আর হাসপাতালে নিহত পুরুষের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সবুজ রঙের গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট পরিহিত ওই লোকের হাতে একটি ব্যাগ ছিল।
চিকিৎসাধীন পাঁচ জনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- দুই ফল বিক্রেতা মো. রাকিব (২০) ও তার চাচা ফজলু খান (৪০)।
চিকিৎসাধীন অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পরিদর্শক মোজাম্মেল।