সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হুমকি দিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, যার প্রকাশ্যে ধূমপানের চিত্র গণমাধ্যমে আসার পর ক্ষমা চাইতে হয়েছিল তাকে।
Published : 22 Jul 2014, 04:47 PM
প্রথমবারের মতো মন্ত্রীর দায়িত্বে আসা মহসিন আলী মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বক্তব্যে টেলিভিশনের সাম্প্রতিক কিছু সংবাদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাছিমা বেগম ছাড়াও কয়েকটি মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, “নারায়ণগঞ্জের খুনের ঘটনার বীভৎস চিত্র ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড করে বারবার দেখিয়েছে। এটা করে তারা মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছে।
“গণমাধ্যমের জন্য এমন আইন করা হচ্ছে যে তাদের কোনো স্বাধীনতাই থাকবে না।”
তবে এই আইন কবে, কিভাবে করা হবে- সে বিষয়ে কিছু বলেননি এই মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “পাঁচ থেকে সাতটি লাশ নিয়ে টেলিভিশনগুলোতে যা ইচ্ছা তাই দেখানো হচ্ছে। আপনারা (সাংবাদিক) কি না করছেন?
“এটা কি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাজ? আপনারা সিএনএন-বিবিসি দেখেন। বড় বড় ঘটনার বীভৎসতা কি সেখানে দেখানো হয়?”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মহসিন আলী বলেন, “পুলিশ আত্মত্যাগ করলে সেটা নিয়ে খবর আসে না। খবর আসে সন্ত্রাসীদের পক্ষে।”
টাঙ্গাইলের যৌনপল্লী উচ্ছেদের ঘটনা প্রসঙ্গে সভায় মহসিন আলী বলেন, “আমার কাছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছ থেকে ফোন এসেছে। তারা জানতে চেয়েছেন, তোমাদের ওখানে কেন ক্রমাগত এগুলো হচ্ছে?
“কী জবাব দেব এর? সৌদি আরবে যেমন শিরশ্ছেদের আইন আছে আমাদের এখানেও এটা করা দরকার। যারা এটা (যৌন পল্লী) উচ্ছেদ করেছে, শরিয়াহ আইন জারি করে তাদের শিরশ্ছেদ করা উচিত।”