জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে আলাদা প্রতীকগুচ্ছ সংরক্ষণের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 30 Jun 2014, 10:35 PM
বর্তমানে টেবিল, চেয়ার, ছাতা, আনারস ও টেলিভিশনসহ অন্তত এক ডজনেরও বেশি প্রতীক সংসদ, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে।
এই প্রথম নির্বাচন কমিশন সংসদ ও স্থানীয় সরকারের চার স্তরের নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক সংরক্ষণ করতে চাইছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রতীক তালিকায় বর্তমানে ১৪০টি প্রতীক ও আরেকটি ‘ক্রস’ চিহ্ন রয়েছে। এই প্রতীকগুলো সংসদ নির্বাচনের জন্য সংরক্ষিত থাকলেও এগুলোই স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কমিশনের সভায় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক কমিয়ে সব নির্বাচনের জন্য ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতীক সংরক্ষণ করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতীক পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন তো অনেক প্রতীক রয়েছে যেটা কয়েকটি নির্বাচনে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষ যেনো প্রতীক দেখেই বলতে পারে এটা কোন নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক রাখতে চাইছি আমরা।”
কোন নির্বাচনে কয়টি প্রতীক রাখা যায়, আরো কী কী প্রতীক যোগ করা যায় তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিশন সভার জন্যে প্রস্তাবনা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আলাদা প্রতীক সংরক্ষণ করার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে জানিয়ে ইসির উপ সচিব আবদুল অদুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি সম্ভব বলে বিবেচনা করা যায়। পরবর্তী সভার জন্যে আমাদের প্রস্তাব তৈরি করে রেখেছি।”
অদুদ বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য অন্তত ৬৫টি প্রতীক সংরক্ষণ রাখা হবে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ৩২টি করে প্রতীক সংরক্ষণের প্রস্তাব রাখা হচ্ছে।
সব মিলে ইসির মোট প্রতীক দাঁড়াবে অন্তত ১৯৩টি। এর বাইরেও ইসি বিবেচনা করলে আরো প্রতীক রাখা যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।
বর্তমানে ইসির কাছে নিবন্ধিত ৪০টি নিবন্ধিত দলের জন্য সংরক্ষিত ৪০টি প্রতীকের বাইরে সংসদ নির্বাচনের জন্য আরো ২৫টি অতিরিক্ত প্রতীক রাখা হবে, যা নতুন নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র সাংসদরা ভোটে বরাদ্দ পেতে পারে।
সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে, উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে, পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে এবং ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে গড়ে [অতিরিক্তসহ] অন্তত ৩২টি করে প্রতীক রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান ইসি’র উপ সচিব অদুদ।
নতুন যোগ হবে অর্ধশতাধিক প্রতীক
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতীক তালিকায় ভারত, নেপালসহ সার্কভুক্ত কিছু দেশের প্রচলিত প্রতীক যোগ করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক জোড়া ফুল, নেপালে ভোটে ব্যবহৃত পাতা প্রতীকসহ দেশে জনপ্রিয় অন্তত অর্ধশতাধিক নতুন প্রতীক প্রস্তাব করা হয়েছে।
রঙিন পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সব প্রতীকই সাদা কালো হবে বলে জানান তারা।