নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।
Published : 26 Jun 2014, 01:02 PM
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ওই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টা পর ১০টার দিকে তারা নির্বাচন কমিশনে যান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের সঙ্গে কথা বলে সাড়ে ১০টার দিকে তারা মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের।
ব্যারিস্টার কামাল হোসেন বলেন, “নারায়ণগঞ্জের উপ-নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, এই প্রত্যাশা আমাদের সবার। যারা সাংবিধানিক দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যেন ইতিবাচকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন তা নিয়ে কথা বলতে আমরা কমিশনে এসেছিলাম।”
কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, সচেতন নাগরিক হিসাবে কমিশনে গিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
খালেকুজ্জামান বলেন, “এই উপ-নির্বাচন কেবল একটি নির্বাচন না, এর সঙ্গে সারা দেশের মানুষের প্রত্যাশা যুক্ত হয়ে আছে। জনগণ সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি থাকবে নাকি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, তা দেখতে জাতি তাকিয়ে আছে।
“এই নির্বাচনকে আমরা একটি আন্দোলন হিসাবে দেখছি। আমরা আশা করি, এখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচিত করতে পারবে।”
সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর শূন্য নারায়ণগঞ্জ-৫ (বন্দর-সদর) আসনে উপনির্বাচনে বৃহস্পতিবার ভোট চলছে।
জাতীয় নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনও বর্জন করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগও প্রার্থী না দিয়ে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে। জাপার প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত সাংসদের ছোটভাই সেলিম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ওসমান পরিবারের প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছেন এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম।
২০০১ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আসনটিকে জয়ী আকরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অবস্থান না নেয়ার প্রতিবাদে দল ছাড়েন আকরাম।
ওই নির্বাচনে আইভীর কাছে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান এখন নারায়ণগঞ্জের আরেকটি আসনের সংসদ সদস্য।
উপনির্বাচনে এ দুই প্রার্থীর বাইরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সমর্থিত শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার গামছা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চিংড়ি মাছ প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুন সিরাজুল মজিদ।