নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলায় র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা এমএম রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 02 Jun 2014, 07:41 PM
সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও তার আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করা হয় বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
সেদিন র্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তারা কাউকে আটক করেননি এবং এই ঘটনার সঙ্গে তার বাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই।
তিন দিন বাদে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়ার পর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়ে র্যাব এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এরপর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি আরেকটি বেঞ্চ গত ১১ মে আরেকটি বেঞ্চ র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
এই তিন কর্মকর্তা হলেন র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা।
ইতোমধ্যে তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। সেনাবাহিনী তারেক ও আরিফকে অকালীন অবসরে পাঠায়, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় নৌবাহিনী।
১৭ মে ভোররাতে সেনানিবাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাঈদ ও আরিফ।আর রাত দেড়টার দিকে একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রানাকে।
অপহরণ ও হত্যামামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন এখনো পলাতক।
নূর হোসেন র্যাবের সহায়তায় ভারতে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।