ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
Published : 21 May 2014, 07:39 PM
বিজেপি নেতা আগামী ২৬ মে তার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে সার্কভুক্ত সব দেশের সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বনির্ধারিত সফরে ২৪ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত জাপান থাকছেন। ফলে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্পিকার ২৫ জুন নয়া দিল্লি যাচ্ছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
দশম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একক সংখ্যগরিষ্ঠতা অর্জনে ভারতে মোদির সরকারপ্রধান হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর গত শুক্রবার তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে টেলিফোনেও সরাসরি কথা বলে ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।
সার্কভুক্ত আটটি দেশের সরকার প্রধানদের শপথ অনুষ্ঠানে আনার আগ্রহের কথা মঙ্গলবার প্রণব মুখার্জিতে মোদি জানান। এতে রাষ্ট্রপতিও সায় দেন।
এ আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে মোদি দৃশ্যত ‘প্রতিবেশীবান্ধব নতুন সরকার’র জোরালো ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
নির্বাচনী প্রচার চলাকালে সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ অভিবাসী নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানের জানান দিয়েছেন মোদি। তবে পরে বলেছেন, “নির্বাচনী প্রচারণা ও সরকার চালানো’ দুটো ভিন্ন বিষয়।
বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রশস্ত আঙিনায় নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এর আগে শুধু দুইজন প্রধানমন্ত্রী- চন্দ্র শেখর ও অটল বিহারী বাজপেয়ি রাষ্ট্রপতি ভবনের আঙিনায় শপথ নিয়েছিলেন। অন্যরা সবাই ওই ভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথ নেন, যেখানে মাত্র পাঁচশ মানুষকে স্থান দেয়ার সুযোগ আছে।