সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে পাঁচ দিন ধরে অচল হয়ে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
Published : 11 May 2014, 06:09 PM
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ অবরোধ ডেকে আছে। ওই কর্মসূচি আহ্বানকারীদের বিচারের দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট ডেকেছে অন্য পক্ষ।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সৃষ্ট এই অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনা চালানোর কথা প্রশাসন বললেও তার কোনো ফল এখনো দৃশ্যমান হয়নি।
এই সংঘাতের শুরু গত ৫ এপ্রিল। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য নাসির হায়দার চৌধুরী বাবুল ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে এসে ছাত্রলীগের এক অংশের হাতে লাঞ্ছিত হন।
এর প্রতিবাদে এবং জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে গত ৭ মে থেকে ক্যাম্পাসে অবরোধের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অমিত কুমার বসুর নেতৃত্বাধীন পক্ষ।
তাদের ডাকা অবরোধে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। অবরোধের প্রথমদিন শাটল ট্রেনের চালককে তুলে নেয়া হয়, পর দিন হামলায় আহত হন এক চালক ও দুই রেল পুলিশ।
এছাড়া রেলস্টেশনে হাত বোমার বিস্ফোরণ, রেল লাইনে আগুন দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।
তাই প্রক্টর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে অমিত বসু নেতৃত্বাধীন অংশ অবরোধ ডাকার পর তার বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন অংশ।
অবরোধকারীদের শাস্তি দাবিতে ধর্মঘট ডাকে তারা। রোববার তারা বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে দিয়ে পাল্টা অবরোধের ডাকও দিয়েছে।
সাব্বির সমর্থকদের অন্যতম নেতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন বলেন, “ছাত্রলীগের নামধারী অছাত্ররা গত পাঁচ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখার পরও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।”
এজন্য রোববার থেকে তারাও অবরোধ ডেকেছেন বলে জানান।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের এই কোন্দলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ জানিয়েছে।
সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ কী- জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্র সংগঠনটির দুটি পক্ষের সাথে আলোচনার চেষ্টা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।”