নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
Published : 09 May 2014, 10:48 PM
তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ দিয়ে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
শুক্রবার সাংবাদিকদের শহীদুল বলেন, “নূর হোসেনকে ক্রসফায়ারে দিলে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে। কিন্তু আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই, খুনীদের বিচার চাই। অন্য কোনোভাবেই গোঁজামিলের তদন্ত বা গ্রেপ্তার আমরা চাই না।”
তার অভিযোগের পর ঘটনা তদন্তে র্যাব চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। হাই কোর্টের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি করা হয়।
এরপর র্যাব-১১ এর সে সময়ের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করেছেন নজরুলের ছোট ভাই আব্দুস সালাম।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে র্যাবের ওই তিন কর্মকর্তাকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
নজরুলসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার দিনই তার পরিবারের পক্ষ থেকে আরেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
তবে নদী থেকে লাশ উদ্ধারেরও দুই দিন পরে নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাস জব্দ এবং কয়েকজনকে আটক করা হলেও এ হত্যা মামলার মূল সন্দেহভাজনকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর ১০ দিন পেরোলেও নূর হোসেনের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।