নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডে নূর হোসেনের পাঁচটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 09 May 2014, 04:34 PM
কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের দোকানে শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় বলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মইনুর রহমান জানান।
নারায়ণগঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সিদ্ধিরগঞ্জ শাখারও সভাপতি। শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডে তার আধিপত্য ছিল বলে এলাকাবাসী জানান।
পরিদর্শক মইনুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নূর হোসেনের দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও বিদেশি মদ পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে এই অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার জীবনকান্তি সরকারসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ছিলেন।
অভিযান চলাকালে জাকারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, শামসুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ট্রাকস্ট্যান্ডের এই পাঁচটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করছিলেন নূর হোসেন।
দোকানগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি রামদা, তিনটি দা, প্রায় তিন হাজার বোতল ফেনসিডিল, নয় বোতল বিদেশি মদ ও ৩৭টি বিয়ারের ক্যান পাওয়া গেছে।
এছাড়া দোকানগুলোতে বাঁশের লাঠি ও নূর হোসেনের নামে ব্যানার-ফেস্টুন পাওয়া যায়।
এর আগে গত ৬ মে কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ ও নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসন। সেখানে নূর হোসেন, তার ভাই নূরুজ্জামান জজ মিয়া ও অন্যান্য সহযোগীরা অবৈধ টং ঘর তৈরি করে বালু ও পাথরের ব্যবসা করতেন।
তার আগে ৩ মে নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি মাইক্রোবাস জব্দ এবং ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল নজরুল এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নিহত নজরুলের পরিবার।
অপহরণের পর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিক্রিয়া দিলেও অপহৃতদের লাশ উদ্ধারের পর আত্মগোপনে চলে যান নূর হোসেন।
ঘটনার পর ১০ দিন পেরোলেও তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।