চলতি মৌসুমে ফলন ভাল পেলেও ইরির বাজার দর নিয়ে শঙ্কিত চাঁদপুরের কৃষকরা।
Published : 24 Apr 2014, 07:48 PM
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সেচ প্রকল্প ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্প’ এলাকায় এবার প্রায় ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি চাষ করা হয়েছে। তবে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে তিনশ’ হেক্টর কম বলে জানিয়েছে কৃষি কর্মকর্তা।
গত কয়েক বছর ধরে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেচের দাম বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদনের সরঞ্জাম এবং মজুরি বেড়ে যাওয়ায় ধানের উৎপাদন বাড়লেও সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।
তাই ভাল ফলন পেয়েও প্রতিবছরই লোকসান গুনছেন চাষিরা।
সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, “ইরি চাষ করতে গিয়ে যেই পরিমাণ খরচ হয়েছে সেই টাকা যদি না উঠে তাহলে আগামীতে এই ফসলের চাষাবাদ করা যাবে না।”
এই এলাকারই কৃষক আবুল খায়ের জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিমণ ইরি মাত্র ৫শো থেকে ৬শো টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
“অথচ প্রতিমণে খরচই হয়েছে ৮শো থেকে ৯শো টাকা।”
তাই বাজার দর বাড়িয়ে মণপ্রতি যদি ৯শো থেকে একহাজার টাকা করা না হয়, তাহলে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেন এই চাষীরা।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাই কম হওয়ায় ফলন বেশ ভাল হয়েছে।