আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 02 Mar 2014, 11:54 AM
প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করে।
এছাড়া এক আইনজীবীর আবেদনে মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আলাদা রুলও দেয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালত থেকে দেয়া আগাম জামিন নিয়ে গত শুক্র ও শনিবারের প্রথম আলোয় মিজানুর রহমান খানের নিজের নামে দুটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
শুক্রবারের লেখাটির শিরোনাম ছিল- ‘মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে?” আর একই বিষয়ে ‘ছয় থেকে আট সপ্তাহের স্বাধীনতা’ শিরোনামের লেখাটি প্রকাশিত হয় শনিবার।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, আব্দুর রব চৌধুরী, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোর শুক্রবারের নিবন্ধটি আদালতের নজরে আনলে বিচারক ওই রুল জারি করে।
পাশাপাশি ৬ মার্চের মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান এবং ওই নিবন্ধের লেখক মিজানুর রহমান খানকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হয়ে মিজানুর রহমান খানকে এই ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আদেশে বলা হয়, “সতর্কতার সঙ্গে এই নিবন্ধ পড়ে এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের শুনানিতে আমরা এই মত দিচ্ছি যে, এই নিবন্ধে খণ্ডিত বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের খাটো ও হাস্যস্পদ করেছে। এটা বিচারকদের সম্মান, মর্যাদা, প্রতিপত্তি, মহিমায় বিরূপভাবে প্রভাবিত ও আক্রমণ করেছে। এটা অবমাননাকর।
“জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানিতে বলেছেন, এটা সার্বিকভাবে বিচার বিভাগের সুনামহানি করেছে। এটা জনগণের মাঝে বিচার বিভাগকে হেয় করার চেষ্টা।”
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেবের করা আরেক আবেদনে কেবল মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে রুল দিয়েছে আদালত। এই আদেশেও তাকে একই সময়ে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই রুলে।
এই আবেদনের অভিযোগের সঙ্গে শুক্রবারের পাশাপাশি প্রথম আলোয় প্রকাশিত মিজানুর রহমান খানের শনিবারের নিবন্ধটিও যুক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান শুনানিদে উপস্থিত ছিলেন।