নির্বাচন কমিশনে হলফনামার মাধ্যমে দেয়া সম্পদের বিবরণীতে ‘ভুল’ করে স্ত্রীর সম্পত্তি বেশি লিখেছিলেন বলে দাবি করলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।
Published : 24 Feb 2014, 11:23 AM
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হলফনামার ভুল সংশোধনে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন তিনি এবং তা গৃহীতও হয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় স্ত্রীর নামে ব্যাংকে স্থিতি ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার টাকা লিখেছিলেন রুহুল হক।
তা ‘অসাবধানতাবশত’ লেখা হয়েছিল দাবি করে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য এখন বলছেন, ওই অঙ্ক হবে ৪৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
”তবে পরবর্তীতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এফিডেভিডের মাধ্যমে সংশোধনীর জন্য জমা দিয়েছিলাম। আপনারা জেনে খুশি হবেন, নির্বাচন কমিশন আমার সংশোধনী গ্রহণ করেছে।”
‘অনিচ্ছাকৃত’ এই ‘ভুলের’ জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও চিকিৎসক সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশের খ্যাতিমান এই চিকিৎসক।
এই রকম একটি ‘ভুল’ কিভাবে ঘটল- সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে রুহুল হক বলেন, “ভুল তো ভুলই।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিগত মহাজোট সরকারের সময়ের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলে নেয় দুদক।
এরপর রুহুল হকসহ সাতজনের ‘অবৈধ’ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। সেইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
তার আগে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার।
প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রুহুল হক।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে, গত মহাজোট সরকারের সময় রুহুল হকের স্ত্রী ইলা হক, ভগ্নিপতি নাজমুল আরেফিনসহ তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা চাকরিতে ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ চালিয়েছিলেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত অভিযোগের তথ্য তাদের হাতে এসেছে, যা এখন যাচাই করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি দুদকের তদন্তের প্রতি আস্থাশীল...আমি বিশ্বাস করি, আমার দীর্ঘদিনের সুনাম ও নৈতিকতার জয় হবে।”