জেলার ইউপিডিএফের সংগঠক বাবলু চাকমার ভাষ্য, জনগণ তাদের হরতালে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে।
Published : 20 May 2024, 10:22 AM
দুই কর্মী ও সমর্থককে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ বেলা ১২টা পর্যন্ত চলবে বলে রাঙ্গামাটি জেলার ইউপিডিএফের সংগঠক বাবলু চাকমা জানিয়েছেন।
অবরোধ শুরুর পরপরই নিজেদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন দুর্গম এলাকার সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে টায়ার ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে ইউপিডিএফের কর্মীরা।
অবরোধের কারণে শহরের জীবনযাত্রা ও যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ আছে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল। রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও উপজেলাগুলোর সঙ্গেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পাশাপাশি জেলার সাজেক, নানিয়ারচর, ঘিলাছড়ি, বুড়িঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ইউপিডিএফের কর্মীদের বিক্ষোভ প্রর্দশনের খবর পাওয়া গেছে।
জেলার ইউপিডিএফের সংগঠক বাবলু চাকমা বলেন, জনগণ তাদের অবরোধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তাদের দাবির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন তারা।
২ সমর্থক খুন: রাঙামাটিতে সোমবার অবরোধের ডাক ইউপিডিএফের
গত শনিবার রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বড় হারিকাবা এলাকায় সশস্ত্র বন্দকুধারিদের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা এবং সমর্থক ধন্য মনি চাকমা নিহত হন।
ইউপিডিএফ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে সন্তু লারমাকে অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
তবে জেএসএস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে।
অবরোধে পরিস্থিতি কেমন রয়েছে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আলী বলেন, “শহরে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। তবে শহরের বাইরে কিছু সড়কে অবরোধকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বিঘ্ন করছে।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তারা সরে যায় বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।