হেফাজতে ইসলামের ৫ মের সমাবেশ নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র এবং নির্বাহী পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে।
Published : 08 Jan 2014, 10:13 AM
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বুধবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করেছেন বিচারক এ কে এম শামসুল আলম।
এই অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে জামিনে মুক্ত এলান ও আদিল দুজনই অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে ছিলেন। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
অভিযোগ গঠনের জন্য আরো সময় চেয়ে অধিকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা আবেদন করলেও সেই আবেদন নাকচ করে আদালত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এ দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম। পরে মামলাটি পাঠানো হয় সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আদিল ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইবুনালের বিচারক।
এরই মধ্যে আদিল হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। আর এলানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইবুনাল। পরে গত ৬ নভেম্বর এলান ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে ২ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
মামলায় বলা হয়, “ওই কাজের মধ্য দিয়ে তারা রাষ্ট্রের প্রতি ষড়যন্ত্র এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।”
তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনের কয়েকটি ধারায় অস্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টিরও অভিযোগ আনা হয় আদিল ও এলানের বিরুদ্ধে।
গত ৫ মে রাতে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে ডানপন্থীদের সমর্থনপুষ্ট অধিকারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অধিকারের কাছে ‘নিহতদের’ নাম পরিচয় চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হলেও অধিকার তথ্য দিতে অস্বীকার করে।
এরপর গত ১০ অগাস্ট আদিলকে গ্রেপ্তার করা হয়, যিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
আদিলকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়; বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনও নিন্দা জানায়।
নিম্ন আদালত আদিলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে অনুমতি দিলেও হাই কোর্টের এক আদেশে রিমান্ড স্থগিত করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।