বিএনপির তিন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আওয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী সামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 09 Nov 2013, 12:29 AM
শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাদের দুজনকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে আটক করা হয় বলে ওই বাসার নিরপত্তাকর্মী সালেহ আকরাম জানান।
তিনি বলেন, “উনারা ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। বের হওয়ার পর পুলিশ একটা সাদা গাড়িতে করে তাদের নিয়ে গেছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এর আগে বিকালে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শেষে রবি থেকে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর পরপরই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় ও বাসার আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া।
বিএনপির আরো কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার খোঁজে তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এরপর গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসায় গিয়ে ফেরার সময় গ্রেপ্তার হন মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আওয়াল মিন্টু ঊনিশশ নব্বইয়ের দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত ছিলেন। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অন্য অনেক রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর মতো মিন্টুও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলকে সমঝোতায় আনতে ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতেও মিন্টুর সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ওই উদ্যোগের অংশ হিসাবে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা গত দুই সপ্তাহে প্রথমে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। মিন্টু দুই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন।