বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যেই শনিবার বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিফলক উন্মোচন হচ্ছে।
Published : 04 Oct 2013, 11:39 PM
শনিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ভিত্তিফলক উন্মোচন করা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভোড়ামারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এবং ভারত থেকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন।”
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ২২ অক্টোবর রামপালে এই প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করা হবে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন করা হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, “২২ অক্টোবরেই রামপালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি স্থাপন করবেন। কিন্তু ওইদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত থাকবেন বলে তিনি যোগ দিতে পারবেন না। এ কারণে শনিবার ভেড়ামারায় মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এটাও করে রাখা হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে সমঝোতা স্মারকের পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে।
শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র এবং ভেড়ামারা ৩৬০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই আমদানি প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, আমদানির পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়িয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
নভেম্বর নাগাদ ভারতের বেসরকারি খাত থেকে আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে। এই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের পাওয়ার ট্রেডিং কোম্পানির কাছ থেকে।
ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছয় টাকার বেশি পড়বে না বলে জানিয়েছেন পিডিবির সদস্য (কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স) তমাল চক্রবর্তী।
দুই দেশের গ্রিড লাইনকে সমন্বিত করতে গত ৩০ অগাস্ট থেকে প্রায় ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হয়েছে দুই দেশের ভূখণ্ডে। গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য দুই দেশের দুটি সুইচিং স্টেশন বসানো হয়েছে ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারায়।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভারত বাংলাদেশের কাছে এই বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। চুক্তি অনুযায়ী পুরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ পেলে বাংলাদেশের লোডশেডিং অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করছেন বিদুৎ বিভাগের কর্মকর্তরা।