মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায়ের পর রাজধানীতে তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে, এতে দগ্ধ হয়েছেন এক চালক।
Published : 01 Oct 2013, 08:54 PM
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে গণহত্যার দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
এর দেড় ঘণ্টার মধ্যে ট্রাইব্যুনালের কাছেই বঙ্গবাজারে একটি কভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়া হয়। তবে কারা আগুন দেয়, তা জানা যায়নি।
অগ্নি নির্বাপণ বাহিনীর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গবাজার মোড়ে কভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়া হলে এর চালক দগ্ধ হন।
ভ্যানের চালক নুরুল ইসলাম (২৫) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ও পা ঝলসে গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মেহেদী হাসান জানান, দুপুরে ফকিরাপুল বাজারের কাছেও একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার চেষ্টা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে সাত/আট জনের একটি দল ফকিরাপুল বাজার এলাকায় ‘রায় মানি না, মানি না’ স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তবে পুলিশের তৎপরতায় বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, “বাসে আগুন দেয়ার পরপরই আমরা তা নিভিয়ে ফেলেছি।”
পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী জানান, গাড়িতে আগুন দেয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের মামলায় এর আগে যাদের সাজা হয়েছে, তারা সবাই জামায়াতে ইসলামীর নেতা। তাদের সাজার পরপরই রাজধানীতে বহু গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছিল।
সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসির রায়ের পর তার এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ছাত্রদল ও যুবদলকর্মীরা চারটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
রায়ে সন্তোষ জানিয়ে বেলা দেড়টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ডিসি সড়কে ছাত্রলীগ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। এ সময় যুবদল ও ছাত্রদলকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এছাড়া ঘাটচেক এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দেয় ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরের অনুসারীরা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য।
রায়ের পর বিএনপির এই নেতার পৈত্রিক এলাকা রাউজানে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে।