প্রধানমন্ত্রীর ‘বক্তব্যকে’ জড়িয়ে দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহার না করলে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার।
Published : 18 Jul 2013, 10:34 PM
ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি প্রকাশের পরদিন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদপত্র প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে এর জবাব দিয়ে বুধবার বিবৃতি পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, অসমর্থিত একটি সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিবৃতি দিয়ে ইউনূস সেন্টার সরকার প্রধানকে জনসমক্ষে হেয় করার চেষ্টা চালিয়েছে।
এর মাধ্যমে নোবেলবিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও বিতর্কিত ও হেয় করা হয়েছে বলে সরকার মনে করছে।
“এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আশা করে, ইউনূস সেন্টার দৈনিক ইত্তেফাক ও ডেইলি স্টারে প্রকাশিত বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে নেবে এবং এইরূপ উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকবে।
“অন্যথায় সরকার ইউনূস সেন্টারের এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, “প্রকৃতপক্ষে নোবেলবিজয়ী ইউনূসকে হেয় করার কোনো ইচ্ছাই এই সরকারের নেই। বরং ইউনূস সেন্টারই অপপ্রচার করে সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসকে বিতর্কিত ও হেয় প্রতিপন্ন করেছে।”
দৈনিক ইত্তেফাক ও ডেইলি স্টারে প্রকাশিত বিবৃতি দেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই প্রতিবাদ পাঠিয়েছে এবং আশা করেছে, প্রকাশিত বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, “একান্ত ঘরোয়া এ আলোচনার সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ১২ জুলাই প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদটি কোনো সূত্র উল্লেখ না করে এবং অপর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত।”
ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কথিত বক্তব্য নরওয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব বলেন, “আশঙ্কাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দেশ দুটি সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এত ঠুনকো নয় যে পত্রিকায় প্রকাশিত সূত্রহীন, ভিত্তিহীন সংবাদে তা নষ্ট হবে। এই সম্পর্ক আছে এবং থাকবে।”
কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ইউনূস সেন্টারের এই ধরনের বিবৃতি প্রকাশ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করার অপপ্রয়াস বলে মনে করছে সরকার।
“অধ্যাপক ইউনূসকে ভণ্ড প্রমাণ করার পেছনে সরকারের মেধা ও অর্থ ব্যয়ের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনো প্রতিবাদ আসেনি উল্লেখ করে কথাগুলো সত্য ধরে ইউনূস সেন্টার বিবৃতি দেয়।
এতে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রফেসর ইউনূস একজন স্বার্থপর মানুষ, যিনি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারেন।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ইউনূস সম্পর্কে অনেকগুলো অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তার সবই মিথ্যা।