উদ্ধার অভিযানের ১৯তম দিনে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো লাশ মেলায় 'ভয়াবহতম' এই ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২৬ জনে।
Published : 12 May 2013, 04:27 AM
রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নোটিস বোর্ডে নিহতের এই সংখ্যা জানিয়ে দেয়া হয়।
বোর্ডে দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী, এ পর্যন্ত ৮২৬টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধারের পর সেগুলো বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানে বর্তমানে রয়েছে ১৪টি মরদেহ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে আরো ৫২টি লাশ।
পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় মোট ২৩৪ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে জুরাইন কবরস্থানে।
ধসের সপ্তদশ দিন শুক্রবার বিকালে রেশমা আক্তার নামে এক নারীকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় তখন কাজ চলছিল।
উদ্ধারকর্মীরা নয়তলা ভবনের সামনের দিকের ধ্বংসস্তূপ আগেই সরাতে পেরেছেন। ৭ মে রাত থেকে তারা ভবনের পেছন দিকের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন যেসব মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র বা মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার মাধ্যমেই পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী গত ১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তখন পর্যন্ত ১৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারপর থেকে গত ১১ দিনে উদ্ধার হয়েছে সাতশর বেশি লাশ।
শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, রানা প্লাজার পাঁচটি কারখানায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করতেন।