যুদ্ধাপরাধে মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও টাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা।
Published : 09 May 2013, 09:19 AM
বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “এই রায়ে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আদালত রায় দেয়ার সময় ১৯৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। জামায়াত থেকেই আলবদর- আল শামসের উৎপত্তি হয়েছে বলে রায়ে বলা হয়েছে। তারা একাত্তর সালে পাকিস্তানবাহিনীর ডেথস্কোয়াড হিসেবে কাজ করেছেন।”
“রায়ে বলা হয়, কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড না হলে যারা একাত্তরে শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি সুবিচার হবে না।”
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, “এ রায়ে পুরো দেশের মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটেছে। জামায়াত নিয়ে ট্রাইব্যুনাল যা বলেছেন তা একেবারেই সঠিক।”
একাত্তরে আল বদর বাহিনী ডেথস্কোয়াড হিসেবে কাজ করেছে-এ বিষয়টি রায়ে উঠে আসায় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রসিকিউটর নুর জাহান মুক্তা।
রায়কে ‘যুগান্তকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন আরেক প্রসিকিউটর একে সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “যে দুটি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারিনি। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সব কিছু পর্যালোচনা করে এর বিরুদ্ধে আপিল করবো।”