নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পূর্ব রেলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে।
Published : 17 Apr 2013, 03:52 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এই সবগুলো মামলায় ইউসুফের সঙ্গে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়াকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদকের ঢাকা অঞ্চলের তিন কর্মকর্তা বুধবার বিকালে কোতোয়ালি থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন বলে থানার এসআই উৎপল বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মামলাগুলোয় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- রেলওয়ের লালমনিরহাট চিলড্রেন পার্ক স্কুলের শিক্ষক চন্দন কুমার দাশ একটি এবং পূর্ব রেলের কার্পেন্টার গিয়াস উদ্দিন ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হামিদ উল্লাহ।
এসআই উৎপল বলেন, ক্ষমতার অপব্যহার করে আর্থিক জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, কার্পেন্টার ও শিক্ষক নিয়োগ এবং ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগে অপচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলাগুলো হয়েছে।
যোগ্য প্রার্থীর পরিবর্তে অর্থ নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করায় মামলা করেছেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। এতে আসামি করা হয়েছে ইউসুফ আলী মৃধা, গোলাম কিবরিয়া ও চন্দন কুমার দাশকে।
দুদকের উপ- সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে গোলাম কিবরিয়া, ইউসুফ আলী মৃধা ও হামিদ উল্লাহকে।
এই মামলায় রেলওয়ের সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর পদে আর্থিক যোগসাজশে যোগ্য প্রার্থীর পরিবর্তে অযোগ্য হামিদ উল্লাহকে নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়।
উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের করা অন্য মামলায় কার্পেন্টার পদে আর্থিক যোগসাজশে অন্যায়ভাবে গিয়াস উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এতে আসামি করা হয়েছে গোলাম কিবরিয়া, ইউসুফ আলী মৃধা ও গিয়াস উদ্দিনকে।
চতুর্থ মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান। এতে আসামি করা হয় গোলাম কিবরিয়া ও ইউসুফ আলী মৃধাকে।
এই মামলায় ইন্সপেক্টর (গ্রেড-১ এ) নিয়োগে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদার বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ধরা পড়ার সময় তার গাড়িতে ইউসুফ মৃধাও গাড়িতে ছিলেন।
ওই টাকা রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের বলে অভিযোগ ওঠে, তবে ফারুক দাবি করেন, ওই অর্থ তার নিজের।
ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন সুরঞ্জিত। ইউসুফ মৃধা ও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে পরে মামলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।