বিমান বাংলাদেশের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মামলায় এয়ারলাইন্সটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল মুনীম মোসাদ্দিক আহমেদসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 20 Jul 2022, 06:57 PM
বুধবার কমিশনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোসাদ্দিক আহমেদ ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- কোম্পানিটির পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের (বিএটিসি) অধ্যক্ষ পার্থ কুমার পণ্ডিত এবং ব্যবস্থাপক (নিয়োগ) ফখরুল হোসেন চৌধুরী।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে তাকেই তদন্তের দাযিত্ব দেয় দুদক।
এর আগে ওই বছর জুলাইতে সাবেক ওই এমডিসহ ১০ জন কর্মকর্তাকে কমিশনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের দায়িত্বকালীন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স নির্ধারণে বিমানের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করেননি আসামিরা।
তারা নিজেদের ইচ্ছেমত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং পরে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে তৎকালীন এমডির ভাতিজাসহ ৩০ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে প্রার্থীদের অবৈধ সুবিধা দিয়েছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, "লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মানবন্টন ম্যানুয়াল অনুযায়ী না করে মৌখিক পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর রেখে বিশেষ প্রার্থীদের অবৈধ সুবিধা প্রদান এবং লিখিত পরীক্ষায় গ্রেস নম্বর প্রদানের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করে অবৈধভাবে বিমানের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।"
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।