অধিকার আর অংশগ্রহণের প্রশ্নে নারী পুরুষের ব্যবধান ঘোচানোর ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সূচকে এক বছরে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ধরে রাখতে পেরেছে।
Published : 14 Jul 2022, 01:59 PM
ডব্লিউইএফ-এর ২০২২ সালের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ৬ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৭১ নম্বরে নেমে গেছে। গতবছর এই তালিকায় বাংলাদেশ ৬৫ নম্বরে ছিল। তার আগের বছর ছিল ৫০ তম অবস্থানে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম তাদের এই লিঙ্গ সমতা সূচক প্রকাশ করে আসছে ২০০৬ সাল থেকে। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন- এই চার মাপকাঠিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিবেচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
এই হিসাবে বাংলাদেশের মোট স্কোর এবার ০.৭১৪, যা গতবছর ছিল ০.৭১৯। প্রথম বছরে, অর্থাৎ ২০০৬ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৬২৭।
এই সূচকে আগেরবারের মতই শীর্ষে অবস্থান করছে আইসল্যান্ড, দেশটির স্কোর ০.৯০৮। আর ‘সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের’ দেশ আফগানিস্তানের স্কোর ০.৪৩৫।
শীর্ষ দশের বাকি নয় দেশ হল ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউ জিল্যান্ড, সুইডেন, রুয়ান্ডা, নিকারাগুয়া, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড ও জার্মানি।
এ তালিকায় সবার নিচে অর্থাৎ ১৪৬তম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। ঠিক তার আগের অবস্থানে, অর্থাৎ ১৪৫ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান।
এছাড়া ভারত ১৩৫, ভুটান ১২৬, মালদ্বীপ ১১৭, শ্রীলঙ্কা ১১০, মিয়ানমার ১০৬ এবং নেপাল ৯৬তম স্থানে রয়েছে এবার। এই হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় নারী পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশেই সবচেয় কম।
রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান গতবছর ছিল সপ্তম। এবার দুই ধাপ পিছিয়ে নবম স্থানে নেমে এসেছে বাংলাদেশ, যদিও স্কোর আগের মতই ০.৫৪৬ রয়েছে।
অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ গতবারের ১৪৭তম অবস্থান থেকে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৪১তম অবস্থানে উঠে এসেছে।
কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য আরও বেড়েছে, সূচকের ১২১তম স্থান থেকে বাংলাদেশ নেমে গেছে ১২৩তম স্থানে।
ডব্লিউইএফ বলছে, ২০২২ সালে নারী-পুরুষ বৈষম্য ৬৮.১ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গেছে। এই ধারায় এগোলে বিশ্ব থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হতে ১৩২ বছর সময় লাগবে।