অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ব্যবহার করে অন্যের ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) দেওয়ার সুবিধা চালু হতে যাচ্ছে শিগগিরই।
Published : 28 Apr 2022, 10:00 PM
তবে সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাখিলা যেন কেবল জমির মূল মালিক নিতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে বলে বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম বন্ধ রাখার পর ২৫ এপ্রিল থেকে তা চালু করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রক্ষণাবেক্ষণের সময় চার কোটি হোল্ডিংয়ের দাবি ক্যালকুলেশন এবং ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে নতুন বাংলা বছরের ‘১৪২৯’ সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হালনাগাদ করা হয়েছে। এছাড়া ১৪২৮ সাল পর্যন্ত দাবি আদায় হয়েছে, এমন হোল্ডিংগুলোতে সর্বশেষ সাল ১৪২৯ সংযুক্ত করা হয়েছে।
এনআইডি নম্বর দিয়ে ‘সরাসরি’ খাজনা দেওয়ার সুবিধা চালু হতে যাওয়ার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, “মূল ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থায় জমির মালিকের প্রোফাইলে না ঢুকেই জমির মালিকের নিবন্ধিত ও হোল্ডিং এন্ট্রি করা জমির ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া যাবে। অর্থাৎ যে কোনো ব্যক্তি ভূমি উন্নয়ন কর অপরের পক্ষেও দিতে পারবেন।
“এ ব্যবস্থা কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য সুবিধাজনক হবে। তবে সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দাখিলা যেন কেবল জমির মূল মালিক নিতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে।”
বর্তমানে অনলাইনে খাজনা পরিশোধের তিনদিনের মধ্যে কিউআর কোড-সম্বলিত অটোমেটেড দাখিলা দেওয়ার যে ব্যবস্থা আছে, তা যাতে খাজনা দেওয়া মাত্রই মেলে- এ বিষয়টিও বিবেচনাধীন আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর গত ৫ জানুয়ারি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ১৬১২২ নম্বরে কল করেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।