ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের দোকানকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
Published : 19 Apr 2022, 09:54 PM
নিহতের নাম নাহিদ হাসান (২৩)। তিনি একটি ডি লিংক নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারিম্যানের চাকরি করতেন বলে তার স্বজনরা জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে যখন নাহিদের মৃত্যু ঘোষণা করেন, তখন হাসপাতালে উপস্থিত তার স্ত্রী ডালিয়া সুলতানা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ছয় মাস আগে বিয়ে করার পর নাহিদ ও ডালিয়া ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে এই প্রথম কারও মৃত্যু হল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে আরও তিনজন এখনও ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন- দোকানকর্মী মোরসালিন (২২) ও ইয়াসিন (২৩) এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী কানন চৌধুরী (২২)।
এদের মধ্যে মোরসালিনের অবস্থা শঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডা. আলাউদ্দিন।
এর বাইরে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোশাররফ হোসেন নামে ঢাকা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও হাসপাতালে খবর নিয়ে জানা যায়, এই সংঘর্ষে অর্ধশত জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ও দোকানকর্মী ছাড়াও রয়েছেন পথচারী, হকার, সাংবাদিক।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, খাবারের দাম দেওয়া নেওয়া নিয়ে ঢাকা কলেজের কয়েক শিক্ষার্থী এবং নিউ মার্কেটের একটি দোকানের কর্মীদের মধ্যে মধ্যরাতে প্রথম মারামারি বাধে।
রাতে এক দফা মারামারির পর থামলেও সকালে হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। বিকাল নাগাদ দফায় দফায় সেই সংঘর্ষ চলে। শিক্ষার্থী ও দোকানকর্মীরা ইট ছোড়াছুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অন্যের উপর হামলে পড়ে।
আহতদের মধ্যে সাজ্জাদ, সেলিম, রাজু, কাওসার, রাহাদ, আলিফ, রুবেল, রাজু, সাংবাদিক আসিফ ও এসএটিভির ক্যামেরা পার্সন কবির হোসেন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।