চৈত্রের শুরুতেই তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা উঠেছে ৩৭ ডিগ্রিতে

শীত বিদায় নিতে না নিতেই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন, তাপমাত্রা উঠেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

চৈত্রের শুরুতেই দেশে গরমের এই আঁচের কারণ মৃদু তাপপ্রবাহ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এই তাপপ্রবাহের মধ্যে বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, “কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বাড়ছে দিনের বেলায়। এসময় বৃষ্টি না থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে সবখানে। শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম দফা মৃদু তাপপ্রবাহ।”

ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ বইছে। যানজটের মধ্যে গরম নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলছে।

মঙ্গলবারও এমন গরম ছিল। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছিল, বুধবার তার বিস্তার আরও বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর বলেন, এখন খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর ও সিলেটের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও দুয়েক দিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে থাকে।

থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

মার্চ মাসের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে ১-২টি মৃদু তাপপ্রবাহ অথবা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।

দেশের উত্তর, উত্তর পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং দেশের অন্যত্র ২-৩ দিন বজ্র/শিলা বৃষ্টিসহ মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।