বাবুল আক্তার কেন জামিন পাবেন না: হাই কোর্টের রুল

চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

আদালত প্রতিবেদেকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2022, 01:32 PM
Updated : 14 March 2022, 01:32 PM

বাবুল আক্তারের জামিন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল দেয়।

আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির; অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম।

আদেশের পর শিশির মনির বলেন, “জামিন আবেদেনের বিষয়ে শুনানির পর রুল দিয়েছে আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”

এর আগে গত ৬ মার্চ বাবুল আক্তারের পক্ষে জামিন আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী শিশির মনির।

কী যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে এ আইনজীবী বলেন, “মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারপক্ষ দাবি করছে বাবুল আক্তার ভাড়াটে খুনি দিয়ে তার স্ত্রীকে খুন করিয়েছেন। কিন্তু এ দাবির পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। আর মুসা নামের যে ভাড়াটে খুনির কথা বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস নেই। সুতরাং বাবুল আক্তার জামিন পেতে পারেন।”

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন মিতু। প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার। কয়েক মাস পর পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয়েছিল তাকে।

তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০২১ সালের মে মাসে ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। তখন বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

অন্যদিকে পিবিআইয়ের ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিআইডি বা অন্য কোনো সংস্থার কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে মিতু হত্যার ঘটনায় নিজের করা মামলাটির পুনঃতদন্ত চেয়েছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

পরে মিতুর বাবার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই এবং আদালত তা গ্রহণ করে। ফলে কেবল বাবুল আক্তারের করা মামলাটিই এখন চালু আছে এবং তিনি ওই মামলাতেই কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন