মিতু হত্যা: পরের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে গ্রহণ

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2022, 04:19 PM
Updated : 6 March 2022, 04:19 PM

রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিমের আদালত ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে।

এর মধ্যদিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরের মামলাটি অকার্যকর হয়ে গেল। মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের করা আগের মামলাটি এখনও সচল রয়েছে, যদিও বাবুলই এখন প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালত গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেনের করা নারাজি আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।”

গত ২৫ জানুয়ারি মোশাররফের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই।

মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। ফাইল ছবি

এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি নারাজি আবেদন করে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ পিবিআইর পরিবর্তে সিআইডি বা র‌্যাবকে দিয়ে তার মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনও খারিজ করা হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় মোশাররফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে আমার নারাজি খারিজ হয়েছে। তবে আমার মামলার নথিপত্র অন্য মামলাটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

“আদালত প্রথম মামলাটিতে পিবিআইর দেওয়া ফাইনাল রিপোর্ট গ্রহণ করেনি। আবার পিবিআই অপেক্ষা না করে আমার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার নারাজি খারিজ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী রিভিশন চেয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।”

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ১ মার্চ ঢাকায় তার বাসায় গিয়ে তার, তার স্ত্রী ও ছোট মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

তিনি বলেন, “ঘটনার সময় মিতুর ছেলে ছিল প্রত্যক্ষদর্শী। তাকে এখনও তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। এমনকি বহুদিন ধরে মিতুর সন্তানদের দেখাও আমরা পাইনি।”

মিতুর দুই সন্তান তাদের বাবা বাবুলের সঙ্গে ছিলেন। বাবুল স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে সন্তানদের তার পরিবারের কাছেই রেখে যান।

মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে করা প্রথম মামলাটিতে পিবিআইর করা আবেদনে আদালত ৯ জানুয়ারি সেই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়।

তার আগে ৩ নভেম্বর বাবুলের মামলায় পিবিআইর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে করা মামলাটি ‘অধিকতর তদন্ত’ করতে পিবিআইকেই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন সেসময় পুলিশ সুপার পদে থাকা বাবুল। নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরই পুলিশের চাকরি হারান তিনি।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পাঁচ বছর পর খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত বছরের ১২ মে তার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই।

এরপর সেদিনই বাবুলসহ নয়জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ।

আরও পড়ুন