সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ ও আমিরাত

সহযোগিতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

মঙ্গলবার দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকদুমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয় বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান। 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই নেতার উপস্থিতিতে চারটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

উচ্চশিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণায় সহযোগিতা; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস অ্যান্ড রিসার্চের (ইসিএসএসআর) মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়; দুই দেশের ফরেইন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা; বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) এবং দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে এসব সমঝোতা হয়।

ব্রিফিংয়ে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশে যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসা ও বিনিয়োগের ‘প্রচুর সুযোগ’ রয়েছে, বৈঠকে তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসায় শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকদুম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘আপনারা কোভিড ম্যানেজমেন্টে খুবই ভালো করেছেন’। তখন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকদুম বলেন, ‘আপনারাও কোভিড ব্যবস্থাপনায় খুব ভালো করেছেন।’ তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা করেছি। ”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বিশেষ করে দুবাইয়ে ‘অনন্যসাধারণ’ উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে সেজন্য দুবাইয়ের শাসকের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

“এই সময় শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকদুম বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টানলে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের আরো উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখছি’।”

দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ফ্লাইট বাড়ানোর ওপর জোর দেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকদুম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে এবং আমরা সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশের অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার-বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন এ সময়।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন, এফবিসিসিআই সভাপতি মো.জসিম উদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।