জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় জঙ্গি নেতা সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 23 Feb 2022, 11:16 PM
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান বুধবার এই আদেশ দেন।
সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান বলে জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েকটি মামলায় দণ্ড হলেও তাকে এখনও ধরা যায়নি।
নাজিমুদ্দিন হত্যামামলায় জিয়াসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে পুলিশ প্রতিবেদন দিলে আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়।
আগামী ৩০ মার্চ এ্ আদেশ প্রতিপালনের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।
অন্য চার আসামি হলেন- আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের।
সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মচারী রুহুল আমিন জানান, মামলার অভিযোগপত্রে জিয়ার বাড়ি দেখানো হয়েছে মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে, ওয়ালিউল্লাহর বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ের পশ্চিম নন্দীপাড়ায়, জুনায়েদের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে, সাব্বিরুলের বাড়ি চ্ট্টগ্রামের আনোয়ারায়।
নাজিমুদ্দিন হত্যামামলায় গত ১৭ জানুয়ারি জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। সেদিনই পলাতক ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন নাজিমুদ্দিন। জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে বলে পুলিশ জানায়।
পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২০ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।