প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে নিতে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সার্চ কমিটির শেষ ধাপের বৈঠকে যাচ্ছেন ২৩ নাগরিক।
Published : 13 Feb 2022, 08:45 AM
রোববার বিকাল ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আমন্ত্রণ পেয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির, প্রজন্ম একাত্তরের আসিফ মুনির তন্ময় ও ডা. নুজহাত চৌধুরী, সাংবাদিক ও লেখক হারুন হাবিব, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি নুরুল আলম, শিক্ষাবিদ ড. আইনুন নিশাত, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জাফর ইকবাল, কবি মহাদেব সাহা, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. উবায়দুল কবির চৌধুরী, পিকেএসএফ এর সাবেক চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আব্দুল আজিজ, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আমন্ত্রণ পেয়েছেন এ বৈঠকে।
সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ সদস্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে অংশ নেবেন।
কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও থাকবেন বৈঠকে।
শনিবার দুই ধাপে আমন্ত্রিত শিক্ষক, আইনজীবী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও অধিকার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে সার্চ কমিটি।
সেখানে দলীয় সরকারের সুবিধাভোগীদের বিবেচনার বাইরে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, সৎ, যোগ্য ও সাহসী ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পরামর্শ এসেছে। নতুন ইসিতে নারী, সংখ্যালঘু ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের রাখার পরামর্শও দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’ গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে পাস হওয়ার পর সে আইনের আলোকে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।
আইন অনুযায়ী, ইসি গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্তের জন্য সার্চ কমিটির জন্য সময় ১৫ দিন। সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের খোঁজে আইন অনুযায়ী কাজ করছে।
শুক্রবার প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তিন শতাধিক ব্যক্তির নাম জমা পড়ে সার্চ কমিটিতে। নিবন্ধিত দুই ডজন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছয় পেশাজীবী সংগঠন এসব নাম প্রস্তাব করেছে।
সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আইন অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিতদের মধ্যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বেছে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন। সেই ইসির ওপরই থাকবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। সার্চ কমিটির হাতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও নতুন ইসি কবে নাগাদ নিয়োগ হচ্ছে তা সার্চ কমিটির সুপারিশের উপর নির্ভর করছে।