সোমবার প্রায় ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১ এ মামলাটি করেন দুদকের উপ পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
দুদক বলছে, ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মনির গ্রেপ্তার হওয়ার আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ৫৫ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ২০১ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তার নামে ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ টাকার সম্পদ অর্জনের উৎস পাওয়া গেলেও ২১ কোটি ৮২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫৯ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস মেলেনি বলে সোমবার দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে। দুই বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করে র্যাব।
এরপর অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া গত ৪ জানুয়ারি গোল্ডেন মনির ও রাজউকের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডার ডিআইটি প্রকল্পের প্লটসহ বিভিন্ন জমি আত্মসাতের চেষ্টা ও নথি গায়েবের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এর মধ্যে ঢাকার ভাটারা থানার অস্ত্র আইনের মামলায় গত ২৩ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তার বিচার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: