মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে বৃহস্পতিবার তাদেরকে নোটিস পাঠানো হয় বলে কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরে পাঠানো নোটিসে তাদের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।
নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নোটিসে।
প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, “মনিরের নামে কয়েকটি অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। আশা করা যাচ্ছে এই অনুসন্ধান কাজ দ্রুত শেষ হবে।”
এছাড়া আট বছর আগে মনিরের অবৈধভাবে অর্জিত এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ মা ও স্ত্রীর নামে দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলাও করেছে দুদক। এই মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।
মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে র্যাব-৩ গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালায়। অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে এই অভিযান চালানোর পর মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে মনিরের বাড়ি থেকে নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা, চার লিটার মদ, আট কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যবসা নয়, কার্যত সোনা চোরাচালানই ছিল মনিরের ব্যবসা; পরে তিনি জড়িত হন জমির ব্যবসায়।
এক সময় নিউ মার্কেট এলাকায় মনিরের একটি স্বর্ণের দোকান ছিল। স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসার সময় তিনি ‘গোল্ডেন মনির’ নামে পরিচিতি পান। তবে ২০০১ সালের পর এই ব্যবসা গুটিয়ে জমির ব্যবসায় মন দেন।
মনিরের বাড়িতে পাঁচটি গাড়ি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই বলে সেগুলো জব্দ করেছে র্যাব।
তার এক হাজার ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।
র্যাব জানিয়েছে, মনিরের বিরুদ্ধে রাজউকের সিল নকল করে ভূমিদস্যুতার একটি এবং দুদকের একটা মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন