রোববার সকালে মনিরকে থানায় হস্তান্তর করার পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ থেকে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলাগুলো করা হয়েছে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মেরুল বাড্ডায় মনিরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-৩।
ছয় তলা ওই বাড়িতে নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৯ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদিশি পিস্তল এবং কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়ার কথা জানানা হয় অভিযান শেষে।
‘গোল্ডেন মনির’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি সোনা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী নন।
গামছা বিক্রেতা থেকে জমির ব্যবসার ‘মাফিয়া’ হয়ে ওঠা মনিরের বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার বিষয়টিও ওই অভিযানের পর সামনে আসছে।
তার বাড়িতে পাঁচটি গাড়ি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা, নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে মনিরের। সব মিলিয়ে তার ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
রাজউকের সিল নকল করে ভূমিদস্যুতার একটি এবং দুদকের একটা মামলা রয়েছে মনিরের বিরুদ্ধে। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের ‘অর্থ জোগানদাতা’ বলেও ইংগিত দিয়েছেন র্যাব কর্তবর্তারা।