শনিবার সকালে লঞ্চটি পরিদর্শনে যায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার ভোররাতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ নামে তিন তলা লঞ্চটি ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে ভেড়ানো হয়েছিল, শুক্রবার রাতে এটিকে ঝালকাঠি নৌবন্দরে নেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো, নাজমুল আলম দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরা পরিদর্শনে এসেছি। এখন পর্যন্ত পরিদর্শনে আছি। ইঞ্জিনরুমসহ পুরো লঞ্চটি দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি।”
তদন্ত কমিটির সদস্যরা লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গা ঘুরে দেখেন। সম্ভাব্য যেসব জায়গা থেকে আগুন লাগতে পারে, সেগুলো চিহ্নিত করেন।
প্রথম দিনের কাজ শেষে শনিবার সন্ধ্যায় নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তিনটি জায়গার প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকারীদের সাথেও কথা বলেছি।
“প্রথমে লঞ্চঘাটের (ঝালকাঠি নৌবন্দর এলাকার) এখানে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। এরপর দিয়াকুলে যেখানে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়েছিল, সে জায়গার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়দের সাথে, আর আগুন লাগার পর চরকাঠী নামক একটি জায়গায় লঞ্চটি থেমেছিল, ওই জায়গার উদ্ধারকারীদের সাথে তদন্ত কমিটির কথা হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দুই ভিকটিমের সাথে তদন্ত কমিটির কথা হয়েছে।”
বরগুনার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সঙ্গেও তদন্ত কমিটি কথা বলবে জানান তিনি।
ঢাকা থেকে বরগুনার বেতাগী রওনা হওয়া লঞ্চটি বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইঞ্জিন রুম থেকে লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
দেশে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের বিরল এই ঘটনার তদন্তে শুক্রবার তদন্ত কমিটি করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বন্দর) মো. তোফায়েল ইসলামকে।
নাজমুল ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) মো. কফিল উদ্দিন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শীপ সার্ভেয়ার তাইফুর আহম্মেদ ভূইয়া, ফয়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশিদ ও বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
এ কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তবে তিন দিনের মধ্যে তা শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কমিটির সদস্যরা। সেক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর আবেদন জানাবেন তারা।
এই সম্পর্কিত খবর