মঙ্গলবার এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চাকরিচ্যুত এ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিশনের জনসংযোগ দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, আইন অনুযায়ী নোটিসে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে হাফিজুর রহমানকে তার নিজের এবং নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণী কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের অক্টোবরে দুর্নীতির অভিযোগে বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ক্যাডারের কর্মকর্তা এই কাস্টমস কমিশনারকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ওই সময়ই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। কমিশনের তৎকালীন উপ পরিচালক মাহমুদ হাসান অনুসন্ধানের এ দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
হাফিজুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে ওই সময় একটি কমিটি করেছিল সরকার। ওই কমিটির সুপারিশে ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে চূড়ান্তভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ছুটি নিয়ে যথাসময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করা, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন করার বিষয়গুলো তাকে বরখাস্তের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার হাফিজুরকে পাঠানো কমিশনের নোটিসে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, আপনি (এম হাফিজুর রহমান), সাবেক কমিশনার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।”
নোটিসে তার নিজের, স্ত্রী ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, দায় দেনা, আয়ের উৎস ও সেগুলো অর্জনের বিস্তারিত তথ্য ২১ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী না দিলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দিলে তার বিরুদ্ধে দুদক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাফিজুর রহমানের মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।