বরখাস্ত হওয়া এম হাফিজুর রহমান ঢাকার সাবেক কমিশনার (কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট)। বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) ক্যাডারের এই কর্মকর্তা শিক্ষা ছুটিতে গত বছর ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য যাওয়ার পর আর দেশে ফেরেননি।
বৃহস্পতিবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব গোলাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্তের কথা বলা হয়েছে।
বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি কোনো খোর-পোষ/ভাতা পাবেন না। গত ১৫ মার্চ থেকে তার বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কমিশনার হাফিজুর রহমান যুক্তরাজ্যের কনভেনট্রি ইউনির্ভার্সিটিতে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোর্সে পড়ার জন্য বিএসআর পার্ট-১ এর বিধি ১৯৫ অনুযায়ী শিক্ষা ছুটি এবং বহিঃবাংলাদেশ ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্য যান।
শিক্ষা ছুটির শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে দেশে না ফিরে বিদেশে অবস্থান করেন তিনি। বিদেশে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের’ খবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
এতে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘বেস্ট লজিস্টিক লিমিটেড’ নামে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠানের ৭৫ শতাংশ মালিকানা, অবৈধ অর্থে একাধিক ফ্ল্যাট কেনা, সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও দুবাই ও লন্ডনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থে এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র কেনার অভিযোগের সত্যতা মেলে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের বাইরে থাকায় গত ১৩ অক্টোবর আইআরডি সচিব গোলাম হোসেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে হাফিজুর রহমানকে বরখাস্তের সুপারিশ পাঠান।
১৯ অক্টোবর অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওই সুপারিশে সই করেন। অর্থমন্ত্রী দেশে ফেরায় একই তারিখে তিনিও হাফিজুর রহমানের বরখাস্ত সংক্রান্ত সুপারিশে সই করেন।