রামপুরায় বাসে আগুন: ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-জনতার’ বিরুদ্ধে দুই মামলা, আসামি আটশ

ঢাকার রামপুরায় বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মো. মাঈনউদ্দিনের মৃত্যুর জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৮০০ জনকে আসামি করে দুই থানায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2021, 07:28 AM
Updated : 1 Dec 2021, 10:09 AM

রামপুরা ও হাতিঝিল থানায় দায়ের করা দুই মামলাতেই ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের জন্য ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-জনতাকে’ দায়ী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে রামপুরা থানার মামলাটি দায়ের করেন এসআই মারুফ হোসেন। সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর উচ্ছৃঙ্খল জনতা বাসে আগুন ও ভাঙচুর চালায়। আসামি সব অজ্ঞাত। বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে একই উদ্দেশ্যে দাঙ্গা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ও ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।”

রামপুরায় থানার এ মামলায় সোমবার রাতের ঘটনার সময় সাতটি বাস পোড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে ঢাকা মহানগর মতিঝিল বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান।

একই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন ওই থানার এসআই একেএম নিয়াজ মোল্লা। তাতে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, “উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র জনতা বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় রাস্তায় চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও প্রেট্রোল বোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন ও পথচারীকে মারধরের অপরাধ করে।”

সোমবার রাত ১০টার দিকে ডিআইটি রোড পূর্ব রামপুরা লাজ ফার্মার সামনে গ্রিন অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মারা যান একারামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে এ দুর্ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা। ঘটনার পর সেখানে বাস আটকে ভাঙচুর করা হয় এবং কয়েকটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

মাইউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার গ্রিন অনাবিল পরিবহনের সংশ্লিষ্ট বাসের চালককে আসামি করে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় বাসের চালক সোহেল (৩৫) এবং তার সহকারী চাঁন মিয়াকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।