ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলায় একটি ভবন ঘিরে অভিযান চালিয়ে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির ‘একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা’বলে জানিয়েছে র্যাব।
Published : 09 Sep 2021, 12:25 PM
এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার চার জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বসিলার ওই আস্তানার খবর পান তারা।
বৃহস্পতিবার ভোরে বসিলার ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে র্যাব-২ এর একটি দল অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, কিছু রাসায়নিক দ্রব্য, বুলেট প্রুফ ভেস্ট, বেশ কিছু উগ্র মতবাদের বই এবং আনুমানিক তিন লাখ টাকা উদ্ধার করার কথা বলা হয় অভিযান শেষে।
গ্রেপ্তার এমদাদুল হক পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তাকে অনেকে উজ্জ্বল মাস্টার হিসেবেও চেনে। তবে সংগঠনে তার পদ পদবি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র্যাব।
বহুতল ওই ভবনের উপরের অংশ এখনও নির্মাণাধীন । চলতি মাসের শুরুতে এমদাদুল এবং আরও দুইজন ওই ভবনের দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মঈন।
ভবনের নিরাপত্তা কর্মীর বরাতে তিনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় তারা পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেন এবং প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করে বলেন। নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র চাওয়া হলে তারা বলেছিলেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তারা পরিবার নিয়ে আসবেন, তখন জাতীয় পরিচয়পত্রও দেওয়া হবে।
“দারোয়ান জানিয়েছে, দোতলার ওই ফ্ল্যাটে আরও দুজনের যাতায়াত ছিল। বুধবার ওই দুজন বের হয়ে যায়।”
গত শুক্রবার ভোরে ময়মনসিংহ শহরের খাগডহর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গোলাগুলির পর অস্ত্রসহ চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব। ওই অভিযানে গুলিভর্তি একটি বিদেশি রিভলবার এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।