সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
Published : 02 Sep 2021, 05:49 PM
বুধবার মহানগর হাকিম শাহিনুর ইসলাম তার খাসকামরায় নাবিলার জবানবন্দি নেন বলে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেন জানান।
বৃহস্পতিবার আদালত পাড়ার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কীভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন নাবিলা তা জবানবন্দিতে বলেছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ‘স্বেচ্ছায়’ জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন বলে বিচারককে জানান।
আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার ভক্ত বলেন, “অনেকক্ষণ ধরে নাবিলা জবানবন্দি দিয়েছে। আমি এখনো কপিটি দেখিনি।”
পুলিশের ভাষ্য, অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের আরও নারী সদস্য গ্রেপ্তার হলেও তারা নাবিলার মতো প্রশিক্ষিত ছিলেন না। আনসার আল ইসলামের হয়ে মিডিয়া শাখা অর্থাৎ জঙ্গিবাদের প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব পালন করতেন নাবিলা। সামরিক শাখার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তিনি দেশ ও দেশের বাইরে যে কোনো সময় জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাবিলা ২০২০ সালের প্রথম দিকে নাম-পরিচয় গোপন করে ছদ্মনামে একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন। পরে আনসার আল ইসলামের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ ‘তিতুমীর মিডিয়ায়’ যুক্ত হন।
তাদের উগ্রবাদী মতাদর্শ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নাবিলা ফেইসবুক, টেলিগ্রাম ও ‘Chirpwire’ নামের অনলাইন প্লাটফর্মে ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট খোলেন।
মামলার নথিপত্রে বলা হয়, নাবিলা নিজে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন অফিশিয়াল ও আন-অফিশিয়াল চ্যানেলে যুক্ত ছিল। সেই চ্যানেলে আইডি ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা এবং বিভিন্ন হামলায় কৌশলগত বিষয়ে ভিডিও এবং ফাইল শেয়ার করতেন। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তার বিয়ের কথাবার্তা চললে সে ছেলে পক্ষকে জানায়, জিহাদের ময়দানে ডাক এলে সে সামনের সারিতে থাকবে। এমনকি শহীদি মৃত্যু এলেও পিছু হটবে না এবং ছেলে (পাত্র) এরূপ মতাদর্শের না হলে সে বিয়ে করবে না।