ঘুষ গ্রহণের মামলায় পুলিশের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক- ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Published : 26 Aug 2021, 06:59 PM
বৃহস্পতিবার ডিআইজি মিজানের গাড়ির চালক কনস্টেবল মো. এনামুল হকের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে।
এদিন সাক্ষীকে আসামি পক্ষ জেরার জন্য সময় চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের বরখাস্ত পরিচালক এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে কারাগার থেকে মামলার আসামি মিজান ও বাছিরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এনিয়ে মামলাটির অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হল।
আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে এনামুল হক বলেন, রমনা পার্কেও ডিআইজি মিজান গিয়েছিলেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানান।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন।
গত বছর ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ফানাফিল্যাহ বলেছিলেন, “সরেজমিন অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি একটি বাজারের ব্যাগে করে ২৫ লাখ টাকা এনামুল বাছিরকে দেওয়ার জন্য রমনা পার্কে মিলিত হন। আলোচনা শেষে রমনা পার্ক থেকে মিজানুরের গাড়িতে ওঠেন খন্দকার এনামুল বাছির।
“পরে গাড়িটি যখন শাহজাহানপুরে থামে তখন মিজানুর রহমান ২৫ লাখ টাকা এনামুল বাছিরের হাতে তুলে দেন। পরে এনামুল বাছির গাড়ি থেকে নেমে বাসার দিকে রওনা হন।“
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের মাধ্যমে মামলা আমলে নেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
এরপর বিচারক অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য করে মামলাটি ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।