বরিশালে ক্ষমতাসীন দলের মেয়রের সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এতে কোনো সঙ্কট তৈরি হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
Published : 22 Aug 2021, 04:51 PM
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ এনে মেয়রের বিরুদ্ধে যেমন মামলা হয়েছে। তেমনি পাল্টা মামলার আবেদন হয়েছে ইউএনও ও পুলিশের বিরুদ্ধেও।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বরিশালের বিষয়টি একান্তই স্থানীয়। সেখানে ত্বরিত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল। তার আগে আসলে বিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”
আওয়ামী লীগের মেয়রকে আসামি করে প্রশাসনের মামলায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হল কিনা, সরকার বিব্রত কি না- এই প্রশ্ন করা হয় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে।
তিনি বলেন, “এটি একটি স্থানীয় ঘটনা, বিচ্ছিন্ন বিষয়।
“মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। ইতোপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটি প্রথম নয়, বহু মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়। অভিযোগ দায়ের হতে পারে, অভিযোগ সঠিক কিনা মেটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।”
এই ঘটনার পর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যকার এই বিরোধকে সঙ্কট হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ।
এনিয়ে তথ্যমন্ত্রী, “অবশ্যই কোনো সংকট নেই। তবে অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিটা চটজলদি হয়েছে।”
সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে- বিএনপির এমন প্রতিক্রিয়ার জবাবে মন্ত্রী বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে সব সময় এ ধরনের কথা বলেন।
“আসলে পায়ের তলার মাটি বিএনপির সরে গেছে। তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বিধায় খালি কলসি বেশি বাজে। ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথাও সে রকম। কথা বলার মধ্যেই তাদের রাজনীতিটা সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।”