এক নারী ও তার মেয়েকে পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
Published : 16 Aug 2021, 03:29 PM
গ্রেপ্তাররা হলেন- কালু ওরফে কাল্লু (৪০), মো. সোহাগ ওরফে নাগিন (৩২) ও বিল্লাল হোসেন (৪১)।
তাদেরকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত জানুয়ারি মাসে পল্লবী এলাকার ১৭ বছরের এক তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়।
তিনি বলেন, “ওই তরুণীর মা পরিচয় গোপন করে মেয়েকে উদ্ধার করতে পাচার চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে তাকেও মেয়ের মত চক্রটি ভারতে পাচার করে দেয়।
“তরুণীর মা কৌশলে ওই চক্রটির হাত থেকে পালিয়ে যান এবং উত্তর দিনাজপুরে একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে মেয়েকে খুঁজে পান। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মা-মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।”
কাল্লু-নাগিন চক্রটি এই পাচারের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, এই চক্রটি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এবং প্রলোভন দেখিয়ে
পাশের দেশে নারী ও তরুণীদের পাচার করে।
“তারা পার্শ্ববর্তী দেশে মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করত। তাদের মূল টার্গেট ছিল দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণীরা।”
চক্রের ‘মূল হোতা’ কালু। বিল্লাল সীমান্তবর্তী এলাকার সমন্বয়ক। পাচারচক্রে নারী সদস্যও রয়েছে। এছাড়া ২০ থেকে ২৫ জন এই চক্রের সঙ্গে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, “চক্রটি ঢাকার মিরপুর, তেজগাঁও, গাজীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তরুণীদের অবৈধভাবে নৌ ও স্থলপথে সীমান্ত পারাপার করানো হত এবং কয়েকটি ধাপে পাচরের কাজটি করা হয়।
“কালু জানিয়েছে, জনপ্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকায় প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে পার্শ্ববর্তী দেশের দালালের কাছে বিক্রি করত।”
বিল্লাল ও তার রাজিয়া খাতুন ২০১৮ সালে পল্লবী থানায় দায়ের করা মানবপাচারের মামলায় এক বছর সাজাও ভোগ করেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া পাঁচ বছর আগে কালুও করাভোগ করেছেন।