জালিয়াতির মাধ্যমে বীমা প্রিমিয়ামের ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 19 Jul 2021, 08:32 PM
সোমবার ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারে পর তাকে ঢাকার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুদকের আদালত কমর্কর্তা মো. জুলফিকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে চাওয়া হয়। বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ সময় কাশেমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আবুল কাশেম বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা কোম্পানিটিতে অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগে কর্মরত।
২০২০ সালের ৯ নভেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে নথিপত্র তৈরি করে বীমা প্রিমিয়ামের ওই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কাশেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়, আবুল কাশেম সাধারণ বীমা করপোরেশনের নামে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের ইমামগঞ্জ শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব খোলেন। হিসাব খোলার সময় তিনি সাধারণ বীমা করপোরেশনের বোর্ড সভার একটি জাল রেজুলেশন দাখিল করেন।
“এই হিসাব খোলার ফরমে অজ্ঞাতনামা রফিকুল ইসলামকে সাধারণ বীমা করপোরেশনের ডিজিএম উল্লেখ করে ব্যাংকে হিসাব পরিচালনাকারী হিসাবে দেখানো হয়। এরপর সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রিমিয়াম অবৈধভাবে ওই ব্যাংক হিসাবে জমা করতে শুরু করেন।”
এরপর ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে ১০ বছরের ধরে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রিমিয়ামের চেক সাধারণ বীমা করপোরেশন খাতে জমা না দিয়ে নিজের ভূয়া ব্যাংক হিসাবে জমা করেন বলে ওই মামলায় আসামি আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
পরে ওই হিসাব থেকে নিজ নামে, অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রিমিয়ামের মোট ২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২০৩ টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাত করেন বলে এই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।