করোনাভাইরাস মহামারী প্রাণঘাতী বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে ঢাকার বড় সড়কগুলোতে লোক চলাচল কমই ছিল; তবে অলি-গলিতে মানুষের জটলা দেখা গেছে।
Published : 04 Jul 2021, 08:01 PM
রোববার ঢাকায় অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম বিভাগ।
এনিয়ে লকডাউনের চারদিনে দুই হাজার ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টে আরও ১৬১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ৪৯৬টি গাড়িকে জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগকেই ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারায় আদালতে পাঠাচ্ছে। এসব মামলা ‘পাঁচ আনি‘ মামলা হিসেবে পরিচিত। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ধার্যকৃত জরিমানার টাকা দিয়েই ছাড়া পাচ্ছেন গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই কঠোর লকডাউন শুরু হয়।
সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠে রাখা হয়েছে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ; জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব যান্ত্রিক বাহন চলাচেলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৫০ জন, দ্বিতীয় দিনে গ্রেপ্তার হন ৩২০ জন, তৃতীয় দিনে গ্রেপ্তার হন ৬২১ জন। তারা ‘অপ্রয়োজনে’ ঘর থেকে বের হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
লকডাউন শুরুর আগেই অবশ্য পুলিশ কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছিল। লকডাউন শুরুর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, “জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে, তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন।
“যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে প্রথমদিনে ৫ হাজার মামলা ও গ্রেপ্তার করতে হচ্ছে আমরা তাও করব।”