ভিডিও কলে দেখে বান্ধবী এসে পেল ঝুলন্ত লাশ

ঢাকার মালিবাগের গুলবাগে বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে এক তরুণী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই বান্ধবী গিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণীকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বুধবার বিকালে গুলবাগের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওই ফ্ল্যাটে ওই তরুণী ও তার বান্ধবী দুজনই সাবলেট থাকতেন। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে চাকরিও করতেন।

ওই তরুণী বুধবার কাজে যাননি। কিন্তু তার বান্ধবী কাজে গিয়েছিলেন।

বান্ধবী পুলিশকে বলেছেন, বিকাল ৩টায় তাকে ফোন করে ওই তরুণী বলেন, ‘আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আয়, আমি মরে যাব’।

তিনি বলেন, ভিডিও কলে ফ্যানের সঙ্গে ওই তরুণীর ওড়না পেঁচানোর দৃশ্য দেখে তিনি  দ্রুত বাসায় এসে দেখেন, ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছিটকানি ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার বান্ধবীকে দেখতে পান।

শাহজাজানপুর থানার ওসি শহীদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”

প্রতীকী ছবি

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা আছে।

“ময়নাতদন্ত হলে জানা যাবে প্রকৃতপক্ষেই আত্মহত্যা কি না,” বলেন ওসি।

মৃত তরুণী বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার এক এএসআইর মেয়ে। তার দুই সন্তানের মধ্যে মৃত তরুণী ছিলেন বড়।

ওসি বলেন, “তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে, তারা বরগুনা থেকে আসছেন।”

ওই তরুণী বিষণ্নতায় ভুগছিলেন বলে তার বান্ধবী পুলিশকে জানিয়েছেন।

ওসি শহীদুল বলেন, “২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছিল সে। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বাসা থেকে বিয়ে নিয়ে আপত্তি ছিল। এ কারণে সে প্রায়ই বিমর্ষ থাকত বলে তার বান্ধবী জানিয়েছে।”