ঘরের বাইরে ও কর্মক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হলেও মাস্ক ‘ব্যবহারে শিথিলতার’ কারণকে এমন পদক্ষেপের পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গ্রামমুখী মানুষের ‘মরিয়া’ ঈদযাত্রার পর করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বুঝতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে এই কথা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতায় পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি বলেন, “পুলিশ যে মাস্ক পরার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করবে, তাদেরকে ক্ষমতা না দিলে তো কাজ করা যাচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ সর্বশেষ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এ সময় মাস্ক পরাসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার।
তবে ঘরের বাইরে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অনেকের অনীহা দেখা গেছে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা করেও মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
লকডাউনের সময়ে রাজধানীতে মহানগর পুলিশের ভ্রাম্যমান আদালতের বাইরে দুই সিটি করপোরশেনও মাস্ক পরা নিশ্চিতে অভিযান চালিয়ে অনেককে জরিমানা করেছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “
মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদ চলে আসায় মানুষ মরিয়া হয়ে পরিবারের কাছে ছুটছেন।”
সরকারের শত অনুরোধ, বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা- কোনো কিছুতেই ঠেকানো যায়নি জনস্রোত।“
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে, আরও ১ হাজার ২৯০ জনের দেহে ধরা পড়েছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন: