রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনাগুলো সিএ ও আরএস দেখে ধাপে ধাপে চিহ্নিত করে সেসব উচ্ছেদ করবে সরকার।
Published : 24 Jan 2021, 04:29 PM
ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন এবং প্রাকৃতিক খালগুলোর ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে রোববার সচিবালয়ে এক সভার পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আজ তারা উপস্থাপন করেছে, এজন্য অনেকগুলো প্রকল্প নিতে হবে, সেজন্য তারা মতামতও দিয়েছে।
“অনেকগুলো জায়গায় ভুয়া কাগজ তৈরি করে অনেকেই অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। সেজন্য ঢাকার ডিসি, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সবার সমন্বয়ে সিএস এবং আরএস দেখে ফেইস বাই ফেইস, এক মাসের ভেতরে, তৃতীয় ফেইস দুই মাসের ভেতরে, তৃতীয় ফেইস তৃতীয় মাসের ভেতরে…সমস্ত জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেবে। সিটি করপোরেশন সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।”
ঢাকায় বেশকিছু সেতু ও কালভার্ট দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে তাজুল বলেন, “সেগুলোকে প্রয়োজনে চিহ্নিত করে পুনঃর্নিমাণ করা হবে। যেসব বক্স কালভার্টের ভেতরে ২৫-৩০ বছরের ময়লা জমে আছে সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।”
মন্ত্রী বলেন, “ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরে অনেকগুলো প্রকল্প ও প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। ওয়াসার কাছে থাকা ঢাকার ২৬টি খাল সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
“অবৈধ দখল থেকে এসব খাল উচ্ছেদ করে সেগুলোকে সংস্কার করা হবে। খালগুলোকে দৃষ্টিনন্দনভাবে দুই পাড় বাঁধিয়ে পায়ে চলার মত ব্যবস্থা করা হবে। সবগুলো খালের সঙ্গে কানেকটিভিটি করা গেলে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট পরিচালনা করতে পারব। এতে যেমন উপভোগ্য হবে, সড়কের ট্রাফিক কমবে। খালগুলোর পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে সেখানে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।”
ঢাকায় এখনও ৩৯টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেগুলোকে সংস্কার করতে আমরা কাজ করছি। এরমধ্যে ২৬টি ওয়াসার কাছে ছিল, বাকী ১৩টি খাল পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের অধীনে আছে। পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কাছে থাকা খালগুলোও যাতে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয় সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম ছাড়াও অন্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।